মোজাম্মেল হক লিটন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ পল্লী বিদ্যুতের অভিশাপ থেকে কোনক্রমেই মুক্তি মিলছে না চাটখিলের জনগণের। ২৪ ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ে পড়তে হচ্ছে ৮ থেকে ১০ বার। গরমের অসহ্য যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। আবার রক্ষণাবেক্ষণ কাজের নামে প্রতি সপ্তাহে একদিন (শুক্রবার অথবা শনিবার) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৮টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হচ্ছে বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ নিয়ে এলাকাবাসীর ভোগান্তির নেই কোন শেষ। বৃহস্পতিবার চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া, নোয়াখোলা, রামনারায়নপুর, মোহাম্মদপুর, বদলকোট, পরকোট, সাহাপুর ইউনিয়ন সরোজমিনে ঘুরে এসে এ প্রতিবেদনটি তৈরী করা হল। উল্লেখিত ইউনিয়ন সমূহের লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দিনে রাতে তাল মিলিয়ে চলছে লোডশেডিং। কোন কোন ইউনিয়নের দুই থেকে তিন ঘণ্টা লোডশেডিং এর পড়তে হচ্ছে।চাটখিল একটি শতভাগ বিদ্যুতায়ন এলাকা।অনেকেই বলছে চাটখিল জোনাল অফিসের কর্মকর্তারা বিভিন্ন অজুহাতে বিদ্যুৎ নিয়ে তালবাহানা করছে। চাটখিলের ভিআইপি এলাকাসমূহে নির্বিগ্নে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। তাছাড়া যে সব এলাকা থেকে লাইনম্যানদের মাসোহারা দেওয়া হয়, সেসব এলাকার মোটামুটি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। কোন ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা দেখা দিলে, তারা দেখেও না দেখার ভান করে চলছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ চাটখিল জোনাল অফিস বিদ্যুৎ বিলের জন্য ডাবল বই ব্যবহার করে। গ্রাহকদের নিকট থেকে অতিরিক্ত বিল আদায়ের জন্য একটি বই ব্যবহার করা হয়। সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য আরেকটা বই ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসী ডাবল বিলের অভিযোগ করলেও এ রিপোর্ট লেখার সময় কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি। এদিকে চাটখিল জোনাল অফিস ঘেরাও, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চাটখিলবাসী। খুব শীঘ্রই এসব কর্মসূচির মাধ্যমে বিদ্যুতের জন্য চাটখিলের জনগণের রাস্তায় নেমে আসবে বলে জানিয়েছে। এ রিপোর্ট লেখার সময় বারবার চাটখিল উপজেলা জোনাল অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।