(সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ)
পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টির কারণে প্রায় ৯০ ভাগ মানুষের ঘর-বাড়িতে ছিল বন্যার পানি। বিশেষ করে প্রতিটি গ্রামে কাঁচা ঘর-বাড়িগুলোর অস্তিত্ব প্রায় বিলিন হয়ে বসবাসের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। দুই উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার দুই হাজারেররও বেশি কাঁচা বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব বসত ঘরে এখনও ফিরতে পারছেন না ক্ষতিগ্রস্থ মানুষ। অনেকের ঘর থেকে এখনও নামছেনা পানি। দ্বিতীয় ধাপের বন্যার পানি কমতে না কমতে গত ২৮ -২৯ ও ৩০ জুনের দুই দিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে ছাতকের সুরমা নদীর বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে নিন্মাঞ্চলে। এদের মধ্যে অনেকেই নিজেদের আত্মিয়-স্বজন এবং আশ্রয় কেন্দ্রে অনাহারে অর্ধহারে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
ছাতক উপজেলা জাউয়াবাজার ইউনিয়নের স্থানীয় একাধিক লোকজনরা জানিয়েছেন, স্মরণকালকের বন্যায় বাদেশ্বরী গ্রামের প্রায় ১৫টি কাঁচা-ঘর বাড়ি পানির প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়ে তারা প্রায় নি:স্ব হয়েছেন। পানি প্রবেশ করায় বসত ঘরসহ আসবাবপত্র রেখে পরিবারের সদস্যরা যখন আশ্রয় কেন্দ্রে এবং আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে ছুটছিলেন এ সুযোগে অনেকের বাড়ি-ঘর থেকে আসবাবপত্র চোরেরা নিয়ে গেছে। কিছু কিছু ঘর বাড়ির সব মালামাল পানির স্রোতে ভেসে গেছে। বাদেশ্বরী গ্রামে বসতঘর হারিয়ে যারা অতি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তারা হলেন রাধানগর দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা শামছুল কবির মিছবাহ চৌধুরী, দিনমজুর জমির হোসেন, জফির আলী, আরজত আলী, ভূলন মিয়া, নায়েব আলী, সিরাজ মিয়া, সোনাই মিয়া, মাসুক মিয়াসহ আরো অনেকেই। এদের মধ্যে ভূলন মিয়ার বসতঘর তৈরি করে দেয়ার জন্য জনৈক ব্যক্তি এগিয়ে এসেছেন। অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্থদের বসতঘর তৈরি করে দিতে সমাজের সকল বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন সচেতন এলাকাবাসী।