হাসান চৌধুরী,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়কে গত কয়েকদিন যাবত সয়দাবাদ থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার মহাসড়কের তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে । ফলে যাত্রী ও চালকদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে । এই মহাসড়কে যানজটের কারণে অনেক যানবাহনই সিরাজগঞ্জ শহর হয়ে উত্তরবঙ্গে যাচ্ছে। ফলে সিরাজগঞ্জ শহরের মধ্যেও মাঝে মাঝে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে শহরবাসীও চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। স্থানীয় সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এই মহাসড়কের উল্লেখিত অংশে মেরামত কাজ চলার কারণে এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, আগামী ৭ দিন এ অবস্থা চলবে।
বৃহস্পতিবার সকালে এই মহাসড়কে গিয়ে দেখা যায়, সয়দাবাদ থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। নলকা থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত গাড়ি সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। হাটিকুমরুলে তিনটি মহাসড়ক মিলিয়ে প্রায় ৩০ কিলোমিটার থেমে থেমে যানজট রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে মহাসড়কের প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকরা।
সকালে উত্তরবঙ্গগ্রামী বাস যাত্রী আফরিন জাহান, শিলা আক্তার , রিফাত, নুরনবী , ঈশান বিন আইয়ুব জানান, ঢাকা থেকে আমরা কুড়িগ্রামে যাচ্ছি সেতু পার হবার পর আমরা যানজটে পড়েছি । প্রায় ১ ঘন্টা ধরে ঠাই ধারিয়ে আছে কখন গন্তব্যে পৌছতে পারবো তার কোন নিশ্চয়তা নেই । ছেলে মেয়েদের নিয়ে সীমাহীন দূর্ভোগের মধ্যে আছি । ট্র্যাক চালক, আব্দুল মালেক জানান, পাবনা থেকে পিয়াজ নিয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছি । ভোর থেকে যানজটে পড়েছি । কখন ঢাকায় পৌছতে পারবো তা আল্লাই জানানে ।
এব্যাপারে সয়দাবাদের বকুল জানায় হাইওয়ে রোড অতিক্রম করতে প্রায় ১ ঘন্টা সময় লেগেছে অথচ সয়দাবাদ থেকে সিরাজগঞ্জে সিএনজিতে যেতে মাত্র ১৫ মিনিটি ।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ের নলকা এলাকায় সড়কের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় যে লেনটি বন্ধ ছিল সেটি আপাতত চালু করে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে মহাসড়কের যানজট কিছুটা কমে এসেছে। তিনি আরও বলেন, ‘কাজ চলায় সয়দাবাদ এলাকা থেকেই মহাসড়কের কোথাও কোথাও খুবই ধীরগতিতে যান চলাচল করছে। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, এই কাজটি বাংলাদেশ সড়ক বিভাগের প্রজেক্টের অধিনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মীরআক্তার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। আমরা এই কাজটা তদারকি করছি । কাজটি শেষ হতে আগামী ৭ দিন লাগবে বলে তিনি জানান। নির্বাহী প্রকৌশলীকে বার বার ফোন করে তার নাম জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।
Leave a Reply