ভোলা জেলার সদর উপজেলাধীন দনিয়া ইউনিয়নে গোপনে বাল্য বিবাহ সম্পন্ন হ্ওয়ার খবরে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন এলাকাবাসী ।
জানা যায়, ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর মানিকা ইউনিয়নের আলাউদ্দিন মুন্সির ১৫ বছরের পড়ুয়া ৮ম-শ্রেণীর নাসরিনকে ভোলা সদর উপজেলাধীন দনিয়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের আলগী গ্রামের বদ্ধ বাড়ির নুরু ইসলামের ছেলে আলমগীর এর সাথে বাল্য বিবাহ দেওয়ার জন্য সম্প্রতি প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন।
বাল্য বিবাহের এমন খবরে এলাকায় জানাজানি হলে এলাকার লোকজন স্থানীয় সংবাদকর্মী সহ ভোলা সদর নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানায়। এর পর বাল্য বিবাহ বন্ধের জন্য সদর নির্বাহী কর্মকর্তা স্থানীয় দনিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জনাব এমদাদ হোসেন কবির সহ মেম্বার কে অবগত করেন।
তখন আনুষ্ঠানিকভাবে বাল্য বিবাহ দিতে না পেরে গোপনে মেয়ে ও ছেলের পিতা কাবিন হস বিয়ে সম্পন্ন করেছে বলে এলাকার লোকজন অভিযোগ তুলে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে সে জানায় আমি এলাকায় নেই চিকিৎসাধীন বরিশালে আছি। মেয়ের পিতা আলাউদ্দিন মন্সি ও ছেলের পিতা নুরু ইসলাম বলেন, ছেলে মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য সে প্রস্তুতি নিলেও পুলিশ প্রশাসন কতক্ষন বন্ধ রাখতে পারবে।
তবে এলাকার লোকজন বলছেন,ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের চোখে ধুলো দিয়ে ছেলে এবং মেয়ের পিতা গোপনে বাল্য বিবাহ সম্পন্ন করে ৮ম, ক্লাসে পড়ুয়া ১৫ বছরের মেয়ে নাসরিন কে ছেলের বাড়িতে রেখে আসেন।
Leave a Reply